Romantic Bangla Uponnash । Oporadhi - অপরাধী । ৫মপর্ব

Romantic Bangla Uponnash । Oporadhi - অপরাধী । ৫মপর্ব, Romantic uponnash bangla pdf, Top 10 Bangla uponnash, Bangla premer uponnash, Bangla uponnash online reading, Bangla uponnash PDF, Premer uponnash pdf, রোমান্টিক বাংলা উপন্যাস,  Bengali uponnash 2023, Bangla uponnash By Humayun Ahmed pdf, Bangla premer uponnash, Bangla uponnash Humayun Ahmed, Romantic uponnash bangla pdf, Premer uponnash pdf, Bangla shahitto, উপন্যাস বই, উপন্যাস pdf, Bangla novels free online reading 2023

Romantic Bangla Uponnash । Oporadhi - অপরাধী । ৫মপর্ব
Romantic Bangla Uponnash । Oporadhi - অপরাধী । ৫মপর্ব

Romantic Bangla Uponnash । Oporadhi - অপরাধী । ৫মপর্ব

Romantic Bangla Uponnash । Oporadhi - অপরাধী । ৫মপর্ব, Romantic uponnash bangla pdf, Top 10 Bangla uponnash, Bangla premer uponnash, Bangla uponnash online reading, Bangla uponnash PDF, Premer uponnash pdf, রোমান্টিক বাংলা উপন্যাস,  Bengali uponnash 2023, Bangla uponnash By Humayun Ahmed pdf, Bangla premer uponnash, Bangla uponnash Humayun Ahmed, Romantic uponnash bangla pdf, Premer uponnash pdf, Bangla shahitto, উপন্যাস বই, উপন্যাস pdf, Bangla novels free online reading 2023


হ্যাঁ আমি সেই এলাকায় যাচ্ছি যেখান থেকে আমি মুখ কালো করেই বেরিয়ে গেছিলাম আর বলছিলাম আর কখনোই এই এলাকায় আসবো না !আর এটা সেই এলাকা যেখানে আমার আপন বোনের শশুর বাড়ির তার সাথে সেই ছলনা ময়ী মায়ার বাড়িও।

আমি পুরাই বেক্কেল হয়ে গেলাম কারন আমি বলছিলাম আর আর তাদের কাছে ফিরবো না আর তাদের সেই এলাকায়ও যাবো না কিন্তু শেষ মেষ কিনা আমাকে সেই এলাকায় যেতে হবে,না আমাকে কিছু একটা করতে হবে, আমি সেই এলাকায় যেতে পারবো না, না তাদের মুখ দেখতেও আগ্রহী আমি!
আমি আমার মাথা খাটাতে লাগলাম কারন যে করেই হোক আমার সেখানে যাওয়া আটকাতেই হবে! ঠিক তখনি মোবাইলটা বের করে ইচ্ছা করে রিং টন বাজিয়ে দিলাম আর মোবাইলটা সকলের সামনে বের করে রিংটন অফ করে সিরিয়াস মুডে কথা বলতে লাগলাম।

--হ্যালো, হ্যা বল,কি বলতেছিস তুই!কখন কিভাবে হইছে??(আমি)
--কিরে কি হইছে???(মামা)

--মামা আমার এক পরিচিত বড় ভাই নাকি এক্সিডেন্ট করছে, এখন আমাকে সেখানে যেতে হবে!(আমি)

--কি বলতেছিস তুই!কিভাবে এক্সিডেন্ট করছে(মামী)

--তা তো গেলেই বুঝতে পারবো,মামা আমার সেখানে যাওয়া খুবই জরুরী!তোমরা এক কাজ করো তোমরা চলে যাও,আমি নাহলে সেই বড় ভাইয়ের বাসায় থেকে যাবো!(আমি)

বলেই আবার মোবাইলে কথা বলার নাটক শুরু করলাম,
--হ্যা আমি আস্তেছি, চিন্তা করিও না আমি.....(আমি আর কিছু বলতে যাবো তখনি এবার সত্যি কারেই আমার মোবাইলে কল আসছে, যা দেখে দেখলাম মামা মামী ও রিদিকা ৩জনেই আমার দিকে অগ্নী দৃষ্টিতে তাকায় আছে!ধুর সালা খেয়ে গেলাম ধরা,ভাগ্যটাও বাশ মেরে দিলো!
--কিরে তোর তো কল চলতেছিলো তাহলে কল মধ্যে কল কেমনে আসে??(মামী)
--ফাজিল কোথাকার! শেষ মেষ না যাওয়ার জন্য মিথ্যা কথা বললি যাতে তোর যাওয়া না লাগে তাই না!(মামা) 

Romantic Bangla Uponnash

--আচ্ছা তোর সমস্যাটা কি! আমাদের সাথে যেতে চাচ্ছিস না কেন হ্যা??(মামী)
--আসলে মামী!আমার এই সকল ফেমেলি ফাংশন গুলো ভালো লাগে না,কারন সেখানে সবাই যার যার মতো ব্যস্থই থাকে মাঝখানে আমিই এতিমের মতো একা হয়ে থাকি!তাই আমি এই রকম ফাংশন গুলোতে যাইতে চাই না!(আমি) 
আসলেই এটাও একটা সত্যি, যার জন্য আমি ফেমেলি ফাংশন গুলোতে যাইতে চাই না তবে এখন তো আর এক কারনেই আমি যেতে চাচ্ছি না সেটা আর বলার কিছু নেই,নাহলে আমি তো রাজি হলামই যাওয়ার জন্য তবে আমি তো জানতামই না যে তারা কোন জায়গায় যাবে,কতো বড় ভুল করলাম, যদি আগেই তাদের জিজ্ঞেসা করতাম বিয়েটা কোথায় বা তারা কোথায় যাবে তাহলে হয়তো একটা প্লেন করেই ফেলতাম আমার যাওয়া আটকানো কিন্তু গাড়িতে উঠার পরেই আমি জানতে পারলাম আমরা আসলে যাচ্ছি কোথায়!আর আমিও তাদের কেউও সেই কারন টা বলতে পারবো কেন আমি একবার তাদের সাথে যাওয়ার কথা বলেও আবার না যাওয়ার চেষ্টা করলাম।বলতে পারবো না আমার সেখানে না যাওয়ার ইচ্ছাটার আসল কারন।


--দেখ অন্তর, তুই হয়তো অন্যদের সাথে গিয়ে এমনটা ফিল করছিস কিন্তু আমার বন্ধু খুবই ভালো সে সকলেরই খোজ খবর রাখে সেখানে গেলে দেখবি আমার থেকেও তোকেই বেশি প্রাধান্য দিবে, (মামা)
--আর তাছাড়াও সে কি একা যাচ্ছে নাকি আমরাও তো যাচ্ছি,আর আমি আছি না, আমি থাকতে সে কি করে একা ফিল করবে শুনি!(রিদিকা)

--দেখ অন্তর,মামীর কথাটা শুন,আর দুষ্টামি করিস না আমাদের সাথে চল দেখবি তোর ভালোই লাগবে, আর আমরা তো আছিই তোর সাথে!(মামী)

--মামী তুমি যদি আমার মনের অবস্থা বুঝতে ও আমার পরিস্থিতি সম্পকে জানতে তাহলে বুঝতে কেন আমি সেখানে যেতে চাচ্ছি না! কারন আমি চাই না এই গুলো সেয়ার করতে, আর এখন তো আরো চাইবো না কারন আমি চাই না তোমাদের এই বিয়ের মজাটা মাটি হোক!"মনে মনে"
--আরে আর কথা বলিও না তো!আর ড্রাইবার গাড়ি চালাও নাহলে এই আবার কোনো একটা ফাদ পাতবে না যাওয়ার জন্য!(মামা)

--জি স্যার(ড্রাইবার আংকেল)

বলেই ড্রাইবার আংকেল গাড়ি চালাতে শুরু করে দেয়,আর আমি ভাবতে লাগলাম যে জায়গায় আমি আর যেতে চাই না শেষমেষ ভাগ্যই আমাকে সেই জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে,যে জায়গায় আমাকে এতো অপমান করলো আবার বাড়ি থেকেও তাড়িয়ে দিলো সেই জায়গায় যাচ্ছি আমি! জানি না আমার সাথে কি হবে ঐখানে বা কি অপেক্ষা করছে সেখানে আমার জন্য, তবে যাই হোক না কেন, তাদের সামনেও যেতে চাই না আমি!তাদের সাথে যেন আমার দেখা না হোক এতাই আমি দোয়া করি।
রাতের ১২টা বাজে, দেখলাম গাড়িতে মামা মামী রিদিকা ঘুমিয়ে আছে ড্রাইবার আংকেল গাড়ি চালাচ্ছে আর আমার চোখে কোনো ঘুমই নেই,কারন মনের মধ্যে এক প্রকার অস্থিরতা কাজ করছে, আর মাথায় প্রচুর প্রেসার পড়তেছে, আমি চাইছি সারাজীবন তাদের থেকে দূরে থাকতে কিন্তু ভাগ্যের এমন এক পরিহাস যাদের থেকে দূরে থাকতে চাই সেই মানুষগুলোর কাছেই আবার যেতে হচ্ছে, এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে আছি যা কেউকেই বলে বোঝাতে পারবো না, মামা মামী হয়তো আমার uneasy কথা মনে করেই আমার জোর করে নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু তারা তো আর জানে না সেই শহরে সেই এলাকায় কি হইছিলো আমার সাথে, আমি মামা মামীদের সাথে ৬ মাস ধরেই আছি কিন্তু কোনো দিনো আব্বুর আম্মু সাথে কথা বলতে দেখেই নাই,একদিন তো আমি অফিস থেকে এসে রুমে রেষ্ট করতেছিলাম তখনি মামী এসে আমাকে জিজ্ঞেসা তাদের সাথে এতোদিন আছি কিন্তু একদিনও তারা আমাকে আব্বু আম্মু সাথে ফোনে কথা বলতে দেখে নাই!আসলেই প্রশ্নটা করাই সাভাবিক কারন আমি তো তাদের বললামই আমার আম্মু আব্বু আছে,আমি মিথ্যা কথা বললাম, তাদের বললাম আম্মু আব্বু গ্রামে থাকে,আর সেখানে নেটওয়ার্কে অনেক সমস্যা তাই খুব কমই কথা হয় তাদের সাথে, এটা বলেই বুঝিয়ে দিলাম তবে আমি আমার যে বড় বোন আছে তার কথা বলি নাই কারন আপুর কথা বললে তারাও বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেসা করতো  আর সেগুলোর উত্তর দিতে দিতে হুট করে সত্যিটা প্রকাশ হয়ে যেত,ভাবতে লাগলাম যদি মায়ার সাথে আমার পরিচয় না হতো তাহলে আজ আমি আমার পরিবারের কাছে হাসি খুশি ভাবে থাকতাম।আম্মু আব্বুর ও আপুর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হতাম না।মায়ার কথা বলতেই মায়ার বেপারে ভাবতে লাগলাম,অনেক দিন তো হয়ে গেলো তার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই,তার খোজও নেই নি, আসলেই নিবোই বা কেন!তার খোজ নেওয়ার জন্য তো অনেকেই আছে আর সে যা করছে আমার সাথে এরপর তা খোজ নেওয়া বোকামি, মায়াকে আমি মন থেকে সরিয়ে দিলাম বটে তবে পূরাপূরি ভাবে মন থেকে আলাদা করতে পারি নাই আমি,কারন প্রথম ভালোবাসা বলেই কথা,আজ খুব জানতে ইচ্ছা করতেছে কেমন আছে সে, কি করতেছে, আসা করি ভালোই থাকবে সে, তবে আর যাই হোক সে আমার ক্ষতি করলেও আমি তো আর কারো খারাপ চাইতে পারি না, যেখানে থাকুক ভালো থাকুক,শুধু আমার সাথে তার ও বাকিদের দেখা না হলেই চলবে!
আমি আমার মোবাইলটা বের করতে লাগলাম দেখলাম রিদিকা আমার কাধে মাথা লাগিয়ে ঘুমাচ্ছে আমি আরো দেখলাম মামী রিদিকার কাধে মাথা লাগিয়ে ঘুমাচ্ছে, থাক তারা ঘুমাক আমিও ইয়ারফোন বের করে কানে লাগিয়ে গান শুনতে লাগলাম,রাস্তায় গাড়ি চলছে তার সাথে আমিও সেই মুহুত্তের গান ইয়ারফোনে ছেড়ে গান শুনছি।


রাতের ২টা বাজে, আমি এখনো জেগেই আছি,কারন ঘুম তো ছু হয়েই আছে আমার,এরই মধ্যে ড্রাইবার আংকেল গাড়ি একটা গ্যাসস্টেশনে নিয়ে আসে গ্যাস নেওয়ার জন্য, ড্রাইবার আংকেল ও আমি জেগে আছি বাকিরা ঘুম,গাড়ি থামানো হলো আমিও চিন্তা করলাম সকলকে জাগিয়ে দেওয়া উচিত,তবে আগে রিদিকাকে ডাকা উচিত কারন সে আমার উপর হেলান দিয়েই আছে তাই আমিও  ডাক দিলাম!
--রিদিকা, এই রিদিকা!আরে উঠো,আমরা গ্যাসস্টেশনে আসছি!(আমি)

--আরে আর একটু ঘুমাতে দাও তো!(রিদিকা বলেই তার দুহাত দিয়ে আমার ডান হাতে জড়িয়ে ধরে, বেপারটা সাথে সাথেই আমাকে সক দিলো, হয়তো তো সে জানেই না সে ঘুমের মধ্যে কি করতেছে বা কার হাতকে জড়িয়ে ধরে আছে, আমিও  হাত ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করতে লাগলাম সেও আরো শক্ত করেই ধরতেছে!বেপারটা আমার থেকে মোটেও ভালো লাগতেছে না, তাই আমি আস্তে করে হাত ছাড়িয়ে নিলাম আর রিদিকাকে ঝাকি দিয়ে জাগিয়ে দিলাম!

--কি হইছে এই রকম করছো কেন??(রিদিকা)

--কি করলাম আমি!তুমি ঘুমের মধ্যে কি করতেছিলা তুমি নিজেও জানো না! আর তাছাড়াও গ্যাসস্টেশনে মামীকে উঠিয়ে দাও,(আমি)

দেখলাম রিদিকা আমার দিকে একপ্রকার রাগি চোখে তাকিয়ে আছে তা আমি এতো গুরুত্ব দেই নাই!আমিও মামাকে ডেকে দিলাম এরপর আমি গাড়ি থেকে নেমে ফ্রেস হয়ে নিলাম, দেখলাম মামা মামী ও রিদিকা ড্রাইবার আংকেল রেস্টুরেন্টের ভিতরে গেলো, আমিও রেস্টুরেন্টে গেলাম আর সেখানে গিয়ে মামার পাশে বসলাম,মামীর ডান পাশে মামা বসছে বাম পাশে রিদিকা আর আমি মামার পাশে বসলাম।
--কি খাবা অডার দাও!(মামা)

--মামা আমি only চা,আর কিছুই খাবো না!(আমি)

--ঐ খাইস না, নাহলে গাড়িতে ঘুম আসবে না!(মামী)

--আরে মামী চিল,আমার অভ্যাস আছে, আর না খালে মাথা ফুল হ্যাং হয়ে যাবে, আর চা পাগলারে যদি বলো চা না খাইতে বেচারা তো মরেই যাবে!(আমি)

--হা হা ঠিক আছে খা তুই!কিছু বলবো না!(মামী)

এরপর আমরা সকলে হাল্কা পাতলা নাস্তা করে নিলাম আর চা তো খাবোই সেটা মিস আছে নাকি??এরপর চা নাস্তা শেষ করে আমরা গাড়ির দিকে যেতে লাগি।তখনি মনে পড়লো গাড়ির কাহিনী তাই আমি মামার কাছে চলে যাই!

--মামা, তুমি তো দেখি unromantic person, (আমি)

--কেন রে??তা কেন মনে হলো তোর??(মামা)

--আরে তুমি এই long journey তে কি করে মামীর সাথে না বসে সামনে ড্রাইবার আংকেলের সাথে বললে, আরে এই সময়ে দুজন দুজনের সাথে থাকবা তা না বরং দুজনে আলাদা আলাদা সিটে বসে আছো!যাও মামীর পাশে বসো আমি ড্রাইবার আংকেলের সাথে বসি!(আমি)

বলেই আমি ড্রাইবার আংকেলের পাশে বসে পড়ি আর মামাকে মামীর সাথে বসিয়ে দি।বাহ এখন ভালো লাগতেছে দুজনকে দেখতে, আমিও বসে আছি,তবে আয়নায় দেখলাম রিদিকা পিছন থেকে আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তা দেখেও না দেখার ভান করলাম আর কিছুক্ষনের মধ্যেই গাড়ি স্টাট দিলো আর চলতে লাগলো তার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে, গাড়ি চলছে আপন গতিতে আর আমার থেকেও বেশ ভালোই লাগতেছে, তাই ইয়ারফোনটা বের করে আমার মোবাইলে লাগিয়ে নিলাম আর যখনি গান ছাড়তে যাবো তখনি রিদিকা ডাক দিলো!

--তোমার ইয়ারফোনটা দাও তো!(রিদিকা)

--কেন??তোমারটা কোথায়??(আমি)

--খুজে পাচ্ছি না , ইয়ারফোনটা দাও!(রিদিকা)

--আচ্ছা নাও(আমি)

বলেই আমার ইয়ারফোনটা দিয়ে দিলাম রিদিকাকে আর সেও মোবাইল বের করে তার কানে গজিয়ে নিলো আমার ইয়ারফোন, কি আর করবো, বসে আছি আর বরিংও লাগতেছে, স্থীর ভাবে বসে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুম চলে আসছে তা অজানা!

--অন্তর,এই অন্তর উঠ,আমরা পোছে গেছিতো!(মামী)

মামীর কথা শুনেই আমি লাফিয়ে উঠি দেখি গাড়ির মধ্যে কেউ নেই,মামী আমাকে দরজা দিয়ে ডাকতেছে, আমি পিছন ফিরে দেখলাম ড্রাইবার আংকেল ব্যাগ বের করতেছে! আমিও নেমে যাই আর আংকেলকে ব্যাগ বের করতে সাহায্য করতে লাগি!

--আরে আরে করিস কি তুই??(ড্রাইবার আংকেল)

--কি করতেছি মানে??ব্যাগ নিচ্ছি!(আমি)

--ব্যাগ আমি দিচ্ছি তো!(ড্রাইবার আংকেল)

--ধুর, কথা বলিও না তো!একা কয়টা ব্যাগ নিবা?? আমিও কিছুনি, আর কথা বাড়াইও না,(আমি)
বলেই আমিও কিছু ব্যাগ নিয়ে নিলাম আর যাই হোক তার উপর এতো বোঝা চাপাবো কেন,সেও তো একটা মানুষ!আমিও ব্যাগ নিয়ে যেতে লাগি যখনি বাড়িটা দেখলাম তখনি আমার এই বাড়িটা আমার চেনায় বটে কারন এই বাড়ির থেকে ৯টা বাড়ি আগেই আপুর শশুর বাড়ি, আমার তো হোসই উড়ে গেলো,যদি এই বাড়ির লোকরা আমার পরিচিত হয় বা তারা আমাকে যদি চিনে থাকে তাহলে তো পূরাই মারা খাওয়া।


আমি ব্যাগ নিয়ে আগাচ্ছি বটে তবে আমার পা আগাতে চাচ্ছে না,মনে বারবার ভয় কাজ করতেছে কারন আমি চাই না সেই মানুষগুলো চোখের সামনে পড়তে যারা আমাকে ৬ মাস আগে বাড়ি থেকে বের করে দিছিলো,আর যদি এই বাড়ির কেউ আমাকে একবার চিনতে পারে তাহলে শিয়োর আমি সেই মানুষগুলোর সামনে পড়বোই,কিন্তু সেটা আমি চাই না,আল্লাহ বাচাও আমাকে আমি তাদের সামনে যেতে চাই না, আর প্লিজ আমার সত্যিটা যেন মামা মামী ও রিদিকারা জানতে না পারে!আমি বাড়িটার দিকে দেখলাম বাড়িটা ২তালা বাড়ি সাথে বিশাল বড়ও।

আমিও হাটতেছি তখনি মামী বাড়ির থেকে বেরিয়ে আসে, 

--কিরে এতোক্ষন লাগেআসতে, তারাতারি আয়!(মামী)

--জী মামী, আসতেছি (আমি)

বলেই আমিও হাটতে লাগি কিন্তু আমার হাত পা কাপতেছে, তারপরে কোনো মতে ভিতরে প্রবেশ করি, সেখানে দেখি একজন লোক মামার সাথে দাঁড়িয়ে হেসে হেসে কথা বলতেছে।আমি এক সাইডে দাঁড়ায় আছি।রিদিকাও আমার ইয়ারফোন কানে দিয়ে আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, এরপর মামা সেই লোকটাকে নিয়ে আমাদের কাছে আসে। 

--অন্তর, আমার যে বন্ধুর কথা বলছিলাম এই হচ্ছে সে আমার বন্ধু মুনসুর!আর এই হচ্ছে আমার একটা ভাগিনা অন্তর!(মামা)

--আসসালামুয়ালাইকুম,(আমি কাপা কাপা গলায়)

--ওয়ালাইকুমসায়াম,কেমন আছো!(লোকটা) 

--জি আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনি কেমন আছেন??(আমি)

--আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি,তোমরা জার্নি করে আসছো,চলো তোমাদের দেখিয়ে দেয়, কাল সকালে কথা হবে কেমন(লোকটা)
পরে আমাকে একটা রুমে নিয়ে যায় আর আমিও।ব্যাগ সাইডে রেখে হেলিয়ে পড়ি।
সকাল বেলা, 
বাসায় লোক জনের আওয়াজ শুনে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো,দেখলাম ৯ঃ০০ টা বেজে গেছে এরই মধ্যে দেখি মামাও রুমে আসছে! 

--কিরে উঠবি না নাকি??নাস্তা রেডি! তারাতারি ফ্রেস হয়ে আয়(মামা)

বলেই চলে গেলো আর আমিও ব্যাগ থেকে ব্রাশ বের করে ফ্রেস হতে চলে গেলাম। ফ্রেস হয়ে এসেই চলে গেলাম। আমি হল রুমে গিয়ে দেখি সেখানে মামা মামী রিদিকা ও একটা ছেলে আর একজন মহিলা উপস্থিত।মনে হয় ছেলেটা সেই আংকেলটাএ  ছেলে আর মহিলাটা হচ্ছে সেই আংকেলের বউ, মামা আমাকে দেখে টেবিলে আসতে বলে আমিও গিয়ে বসলাম, এরপর নাস্তা দেওয়া হয়।
--কিরে সৌরভ, তোর বোন এখনো উঠে নাই???(সেই আংকেলটা)

--উঠছে তো আব্বু,আমি ডেকে উঠায় আসছি সেও ফ্রেস হতে চলে যায়,(তার ছেলে সৌরভ)
--আরে আসবে ও,তোমরা খেতে থাকো না!(আন্টিটা)

--আরে সকলে একত্রে নাস্তা করাটা ভালো,কেউ এখন কেউ পরে খেলে সেটা ভালো দেখায় নাকি??(আংকেল)

--আরে আব্বু ও আসবে তুমি খাও তো,তুমি আংকেলের সাথে খাও!চলে আসবে (সৌরভ)
এরপর সকলে নাস্তা করতেছে,আমিও নাস্তা খাচ্ছি।

--ঐতো চলে আসছে সে (সৌরভ)
বলতেই সকলে সিরির দিকে তাকায়,আমিও তাকালাম, সিরির দিকে তাকিয়ে তো আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো,কারন মেয়েটাকে আমি চিনি, মেয়েটার নাম হচ্ছে মুন্নি।আর সবচেয়ে ভয়ের কথা হলো সেও আমাকে চিনে।

চলবে..............

ভুলক্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।আর লাইক ও গল্প ভিত্তিক কমেন্ট করে পাশে থাকুন।নাইস নেক্সট বলা থেকে বিরত থাকুন।বিনা অনুমতিতে কপি করা নিষেধ।সেয়ার করুন আর পরর্বতি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url