ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকার ডেঙ্গু রোগের ওষুধ শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সমূহ ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২১ ডেঙ্গু হলে করণীয়

এডিস মশা ও ডেঙ্গু


ডেঙ্গু বর্তমান সময়ের সবচেয়ে পীড়াদায়ক রোগের একটি । ১০০ থেকে ৮০০ বছর পূর্বে প্রথমবার এই ভাইরাস বানর থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয় কিন্তু ততদিন চিন্তার কোন কারণ হয়ে ওঠেনি যতদিন না বিংশ শতাব্দীতে আফ্রিকা মহাদ্বীপে এই রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে  এবং তারপর এই রোগ বিশ্বের গ্রীষ্মপ্রধান এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ।  এই জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি একদিকে যেমন দূর্বল হয়ে পড়ে অন্যদিকে এর রেশ শরীরে থেকে যায় দীর্ঘদিন । তবে ডেঙ্গু প্রাণঘাতি কোনো রোগ নয় । বিশ্রাম ও নিয়মমাফিক চললে এ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া সম্ভব ।

ডেঙ্গু জ্বর কী ও কিভাবে ছড়ায়?

ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং ডেঙ্গু ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশ করে এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে । ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোন ব্যক্তিকে কামড়ালে, সেই ব্যক্তি ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় । এবার এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে, সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয় । এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে ।

ডেঙ্গু প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে: ১। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভার ২। ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার



ডেঙ্গু জ্বর কখন ও কাদের বেশি হয়:

মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বিশেষ করে গরম এবং বর্ষার সময়টাতেই ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে । কারণ এ সময়টিতে এডিস মশার বিস্তার ঘটে কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরের সময়কাল আরো এগিয়ে এসেছে । এখন জুন মাস থেকেই ডেঙ্গু জ্বরের সময় শুরু হয়ে যাচ্ছে ।

সাধারণত শহর অঞ্চলে অভিজাত এলাকায় বড় বড় দালান কোঠায় এই মশার প্রাদুর্ভাব বেশি, তাই ডেঙ্গু জ্বরও এই এলাকার বাসিন্দাদের বেশি হয় । বস্তিতে বা গ্রামে বসবাসরত লোকজনের ডেঙ্গু কম হয় বা একেবারেই হয় না বললেই চলে ।

ডেঙ্গু ভাইরাস ৪ ধরনের হয়ে থাকে । তাই ডেঙ্গু জ্বরও ৪ বার হতে পারে । যারা আগেও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে ডেঙ্গু হলে তা মারাত্মক হওয়ার ঝুঁকি থাকে । বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায় ।



ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ




ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ :

ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর ও সেই সঙ্গে সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়ে থাকে । জ্বর ১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমড়, পিঠসহ অস্থি সন্ধি এবং মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা হয় । এছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পিছনে ব্যথা হয় । অনেক সময় ব্যথা এত তীব্র হয় যে মনে হয় বুঝি হাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে। তাই এই জ্বরের আরেক নাম “ব্রেক বোন ফিভার”।

জ্বর হওয়ার ৪ বা ৫ দিনের সময় সারা শরীরজুড়ে লালচে দানা দেখা যায়, যাকে বলা হয় স্কিন রাশ, অনেকটা এলার্জি বা ঘামাচির মতো । এর সঙ্গে বমি বমি ভাব, এমনকি বমি হতে পারে । রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করে এবং রুচি কমে যায় । সাধারণত ৪ বা ৫ দিন জ্বর থাকার পর তা এমনিতেই চলে যায় এবং কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে এর ২ বা ৩ দিন পর আবার জ্বর আসে । একে “বাই ফেজিক ফিভার” বলে ।


ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর :

এই অবস্থাটাই সবচেয়ে জটিল । এই জ্বরে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গের পাশাপাশি আরো যে সমস্যাগুলো হয় তা হল:-

শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়, যেমন চামড়ার নিচে, নাক ও মুখ দিয়ে, মাড়ি ও দাঁত হতে, কফের সঙ্গে, রক্তবমি, পায়খানার সাথে তাজা রক্ত বা কালো পায়খানা, চোখের মধ্যে এবং চোখের বাহিরে, মহিলাদের বেলায় অসময়ে ঋতুস্রাব অথবা রক্তক্ষরণ শুরু হলে অনেকদিন পর্যন্ত রক্ত পড়তে থাকা ইত্যাদি ।

এই রোগের বেলায় অনেক সময় বুকে পানি, পেটে পানি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে । অনেক সময় লিভার আক্রান্ত হয়ে রোগীর জন্ডিস, কিডনীতে আক্রান্ত হয়ে রেনাল ফেইলিউর ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে ।

ডেঙ্গু শক সিনড্রোম:

ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ রূপ হল ডেঙ্গু শক সিনড্রোম । ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারের সাথে সার্কুলেটরী ফেইলিউর হয়ে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হয় । এর লক্ষণ হল:-


 ১। রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়া ।

২। নাড়ীর স্পন্দন অত্যন্ত ক্ষীণ ও দ্রুত হয় ।

৩।  শরীরের হাত পা ও অন্যান্য অংশ ঠাণ্ডা হয়ে যায় ।

 ৪।  প্রস্রাব কমে যায় ।

 ৫। হঠাৎ করে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে  এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ।


জ্বর হলেই কি চিন্তিত হবেন?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ বলছেন, এখন যেহেতু ডেঙ্গুর সময়, সেজন্য জ্বর হল অবহেলা করা উচিত নয় ।


জ্বরে আক্রান্ত হলেই সাথে-সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ ।


তিনি বলছেন, ''ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তারা জ্বরকে অবহেলা করেছেন । জ্বরের সাথে যদি সর্দি- কাশি, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কিংবা অন্য কোন বিষয় জড়িত থাকে তাহলে সেটি ডেঙ্গু না হয়ে অন্যকিছু হতে পারে । তবে জ্বর হলেই সচেতন থাকতে হবে ।''


বিশ্রামে থাকতে হবে

সরকারের কমিউনিক্যাবল ডিজিজ কন্ট্রোল বা সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অন্যতম পরিচালক ড. সানিয়া তাহমিনা বলেন, ''জ্বর হলে বিশ্রামে থাকতে হবে । তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন, জ্বর নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করা উচিত নয় । একজন ব্যক্তি সাধারণত প্রতিদিন যেসব পরিশ্রমের কাজ করে, সেগুলো না করাই ভালো । পরিপূর্ণ বিশ্রাম প্রয়োজন ।''


ডেঙ্গু হলে কী খাবেন?

প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে । যেমন - ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন গ্রহণ করা যেতে পারে । এমন নয় যে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে, পানি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে ।

ডেঙ্গু জ্বর হলে যেসব ঔষধ খাওয়া উচিত নয়

অধ্যাপক তাহমিনা বলেন, ''ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে । স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ চারটি প্যারাসিটামল খেতে পারবে ।''


চিকিৎসকরা বলছেন, প্যারাসিটামলের সর্বোচ্চ ডোজ হচ্ছে প্রতিদিন চার গ্রাম । কিন্তু কোন ব্যক্তির যদি লিভার, হার্ট এবং কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা থাকে, তাহলে প্যারাসিটামল সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।


ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে গায়ে ব্যথার জন্য অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ খাওয়া যাবে না । ডেঙ্গুর সময় অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ গ্রহণ করলে রক্তক্ষরণ হতে পারে ।


ডেঙ্গু জ্বর হলে যে সব ওষুধ বারণ:

>> ব্যথানাশক ওষুধ (এন.এস.এ.আই.ডি গ্রুপ যেমন, ডাইক্লোফেন, আইবুপ্রোফেন, ন্যাপারক্সেন, মেফেন)


>> এসপিরিন/ক্রোপিডোপ্রেল (এন্টি প্লাটিলেট গ্রুপ) হৃদরোগীদের জন্য জ্বর থাকাকালীন ও প্লাটিলেট হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে


>> ওয়ারফারিন (এন্টিকোয়াগুলেন্ট) হৃদরোগীদের জন্য জ্বর থাকাকালীন ও প্লাটিলেট হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে


>> এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ (বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিরেকে)


কখন ডাক্তার দেখাবেন :

ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই । তবে এই জ্বর সাধারণত নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায় । তাই উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসাই যথেষ্ট । তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াই ভালো-


- শরীরের যে কোন অংশ থেকে রক্তপাত হলে ।

- প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে ।

- শ্বাসকষ্ট হলে বা পেট ফুলে পানি আসলে ।

- প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে ।

- জন্ডিস দেখা দিলে ।

- অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিলে ।

- প্রচণ্ড পেটে ব্যথা বা বমি হলে ।

ডেঙ্গু হলে কী কী পরীক্ষা করা উচিত?

আসলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বর হলে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দরকার নাই, এতে অযথা অর্থের অপচয় হয় ।


জ্বরের ৪-৫ দিন পরে সিবিসি এবং প্লাটিলেট করাই যথেষ্ট । এর আগে করলে রিপোর্ট স্বাভাবিক থাকে এবং অনেকে বিভ্রান্তিতে পড়তে পারেন । প্লাটিলেট কাউন্ট ১ লক্ষের কম হলে, ডেঙ্গু ভাইরাসের কথা মাথায় রেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া উচিত ।


ডেঙ্গু এন্টিবডির পরীক্ষা ৫ বা ৬ দিনের পর করা যেতে পারে । এই পরীক্ষা রোগ সনাক্তকরণে সাহায্য করলেও রোগের চিকিৎসায় এর কোন ভূমিকা নেই । এই পরীক্ষা না করলেও কোন সমস্যা নাই, এতে শুধু শুধু অর্থের অপচয় হয় ।


প্রয়োজনে ব্লাড সুগার, লিভারের পরীক্ষাসমূহ যেমন এসজিপিটি, এসজিওটি, এলকালাইন ফসফাটেজ ইত্যাদি করা যাবে ।


এছাড়াও প্রয়োজনে পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম, বুকের এক্সরে ইত্যাদি করা যাবে ।


চিকিৎসক যদি মনে করেন যে রোগী ডিআইসি জাতীয় জটিলতায় আক্রান্ত, সেক্ষেত্রে প্রোথ্রোম্বিন টাইম, এপিটিটি, ডি-ডাইমার ইত্যাদি পরীক্ষা করতে পারেন ।


ডেঙ্গু কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়??

ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এডিস মশা অন্ধকারে কামড়ায় না । সাধারণত সকালের দিকে এবং সন্ধ্যার কিছু আগে এডিস মশা তৎপর হয়ে উঠে । এডিস মশা কখনো অন্ধকারে কামড়ায় না ।


ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা
১। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ।

২। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, অব্যবহৃত কৌটা, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে । ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে ।

৩। ঘরের বাথরুমে কোথাও জমানো পানি ৫ দিনের বেশি যেন না থাকে । একুরিয়াম, ফ্রিজ বা এয়ার কন্ডিশনারের নিচেও যেন পানি জমে না থাকে ।

৪। এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায় । তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে । তাই দিনের বেলা শরীর ভালোভাবে কাপড়ে ঢেকে বের হতে হবে, প্রয়োজনে মসকুইটো রিপেলেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে । ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে ।

৫। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে ।

৬। বাচ্চাদের যারা স্কুলে যায়, তাদের হাফপ্যান্ট না পরিয়ে ফুল প্যান্ট বা পায়জামা পরিয়ে স্কুলে পাঠাতে হবে ।

৭। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই সব সময় মশারির মধ্যে রাখতে হবে, যাতে করে রোগীকে কোন মশা কামড়াতে না পারে । মশক নিধনের জন্য স্প্রে, কয়েল, ম্যাট ব্যবহারের সাথে সাথে মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য দিনে ও রাতে মশারী ব্যবহার করতে হবে ।



পরিশেষে, ডেঙ্গু জ্বর হয়ত বা নির্মূল করা যাবে না । এর কোন ভ্যাক্সিনও বের হয় নাই এবং কোন কার্যকরী ঔষধও আবিস্কৃত হয় নাই । ডেঙ্গু জ্বরের মশাটি আমাদের দেশে আগেও ছিল, এখনও আছে, মশা প্রজননের এবং বংশবৃদ্ধির পরিবেশও আছে । তাই ডেঙ্গু জ্বর ভবিষ্যতেও থাকবে । একমাত্র সচেতনতা ও প্রতিরোধের মাধ্যমেই এর হাত থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url