মুখের ভিতরে ঘা বা আলসার কেন হয় এবং তা দূর করার উপায় কি?
মুখের ঘা দূর করার ঘরোয়া উপায়, মুখের আলসার দূর করার উপায়, জিহ্বার ঘা দূর করার উপায়, মুখের ঘা এর জেল নাম, মুখে ঘা হলে কি ঔষধ, জিহ্বায় ঘা এর ঔষধ এর নাম, মুখের ঘা এর এন্টিবায়োটিক, মুখে ঘা হলে করণীয়, মুখের ভেতরের মাংসে বা জিহ্বায় ঘা হয়, মুখের ভিতর ক্ষত দূর করার উপায়, জিহ্বার ঘা দূর করার উপায়, কী খেলে আলসার ভাল হয়, ওরাল আলসার ট্রিটমেন্ট, মুখের আলসার কেন হয়, অ্যাপথাস আলসারের ঔষধ, আলসার কত দিনে ভালো হয়, মুখের ঘা ছবি, ব্রণের ক্ষত দূর করার উপায়, মুখের ঘা দূর করার ঘরোয়া উপায়, মুখের আলসার দূর করার উপায়, জিহ্বার ঘা দূর করার উপায়, মুখের ক্ষত দাগ দূর করার ক্রিম, মুখের ঘা দূর করার ঔষধ. মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়, মুখের ঘা দূর করার ওষুধ ।
মুখে ঘা এর চিকিৎসা |
মুখের ভিতরে ঘা বা আলসার কেন হয় এবং তা দূর করার উপায় কি?
মুখে ঘা বা আলসার কেন হয়??
মুখে আঘাতের বিষয়ে সাবধানে থাকবেন । দাঁত ব্রাশের সময় সতর্ক থাকবেন । দাঁত আঁকাবাঁকা থাকলে তার চিকিৎসা করান । এ সমস্যা রোধের জন্য পরিমিত খাবার, ঘুম, মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকার চেষ্টা করবেন ।
আসুন জেনে নেই মুখে ঘা হলে কী করবেন?
- যষ্টিমধুঃ যষ্টিমধু মুখের ঘা দূর করতে বেশ কার্যকরী একটি উপাদান । এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দুই কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন । তারপর এটি দিয়ে কয়েকবার কুলি করুন । উপকার পাবেন ।
- অ্যালোভেরা জেলঃ অ্যালোভেরা জেল বা অ্যালোভেরার রস মুখের ঘা কমিয়ে দিতে পারে । অ্যালোভেরা জেল প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক, যার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফিংগাল, অ্যান্টিভাইরাল উপাদান ক্ষত কমিয়ে দিতে পারে ।
- নারিকেল দুধের সঙ্গে মধু ঃ এক টেবিল চামচ নারিকেল দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন । এবার এই মিশ্রণ দিনে তিন থেকে চারবার ঘায়ের জায়গায় লাগান । মধু ছাড়া শুধু নারিকেলের দুধ দিয়েও ক্ষত স্থানে মালিশ করতে পারেন । ক্ষত দ্রুত সেরে যাবে ।
- তুলসি পাতাঃ কয়েকটি তুলসি পাতাসহ পানি দিনে তিন থেকে চারবার পান করুন । এটি দ্রুত মুখের ঘা প্রতিরোধ করে দেবে এবং মুখের ঘা হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেবে ।
- টি ব্যাগঃ দ্রুত ব্যথা এবং জ্বালা দূর করতে টি ব্যাগ খুবই কার্যকর । একটি টি ব্যাগ ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে সেটি ঘায়ের জায়গায় লাগান । ব্যথা এবং ক্ষত দ্রুত সেরে যাবে ।
- লবণ-পানিঃ লবণ-পানি দিয়েও কুলকুচি করতে পারেন, এটি মুখের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে । এক টুকরো লবঙ্গ মুখে দিয়ে রাখুন বা লবঙ্গের রস দিয়ে ক্ষত স্থানটিতে লাগাতে পারেন । উপকার পাবেন ।
- টুকরা বরফঃ এক টুকরা বরফ নিয়ে ঘায়ের স্থানে রাখুন । অথবা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন ।
মুখের ঘা প্রতিরোধের উপায়
- অতিরিক্ত নোনতা, ঝালযুক্ত, অ্যাসিডিক বা আ্যলার্জি হতে পারে, এমন খাবার পরিহার করা ।
- অতিরিক্ত পরিমাণে কড়া পানীয় যেমন চা-কফি, অ্যালকোহল পান বর্জন করুন ।
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন ।
- ধূমপান, জর্দা পরিহার করুন ।
- খাদ্যতালিকায় অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট (ভিটামিন এ, সি, ই) সমৃদ্ধ খাবার রাখা যেমন শাকসবজি, সবুজ রঙিন ফল (পেঁপে, আম, গাজর, লেবু, পেয়ারা, কাঠবাদাম, রঙিন ক্যাপসিকাম) ইত্যাদি ।
- আয়রন এবং ভিটামিন বি-১২, ফলিক অ্যাসিডের অভাব পূরণে কচুশাক, কাঁচা কলা, দুধ, টক দই, চর্বি ছাড়া মাংস গ্রহণ করা ।
- নির্দিষ্ট সময় অন্তর দাঁতের পরীক্ষা করা, দাঁতের গোড়ায় প্ল্যাক বা ময়লা বা দাঁতের ক্যারিজজনিত রোগ হলে ডেন্টিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করা ।
- মুখগহ্বর সর্বদা পরিষ্কার রাখতে সকালে ও রাতে দাঁত ব্রাশ করতে হবে, নরম ও উন্নত মানের দাঁতের ব্রাশ ব্যবহার করা, তিন মাস পরপর ব্রাশ পরিবর্তন করা ।
- ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, কিডনিসহ দীর্ঘমেয়াদি রোগের সঠিক চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ।
- মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা এড়িয়ে চলতে হবে ।
- বারবার মুখের ক্ষতে হাত দেওয়া বা পুঁজ বের করা থেকে বিরত থাকতে হবে ।
তাৎক্ষণিক ব্যথা থেকে কিছুটা আরামের জন্য বেনজিড্যামিন হাইড্রোক্লোরাইড মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কোনোভাবেই সাত দিনের বেশি নয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ২০০ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ পায় মুখগহ্বরের ঘা বা আলসারের মাধ্যমে। এর মধ্যে কিছু ঘা বা ক্ষতকে ‘প্রি-ক্যানসার লিশন’ বা ‘ক্যানসার পূর্বাবস্থার ক্ষত’ বলা হয়। অবহেলিত মুখের ঘা পরবর্তী সময়ে ক্যানসারের জন্ম দিতে পারে।
মুখের ঘা এর জেল নাম
Benzocaine gels, Carmellose Sodium যুক্ত পেস্ট ও জেল মুখে লাগাতে পারেন । এতে করে মুখের জ্বালাপোড়া এবং ঘা দ্রুত সেরে যাবে । এই সময়ে 20 থেকে 30 শতাংশ মানুষেরই এই সমস্যা হয়ে থাকে তাই এই দুইটি জেল এর মাধ্যমে মুখের ঘা দূর করতে পারবেন ।