ডায়াবেটিস কী, মাত্রা, কেন হয়, কি খেলে ভালো হয় ও পরীক্ষা?

ডায়াবেটিস হল একটি মেটাবলিক রোগ যা শরীরের ইনসুলিন উৎপাদন বা ব্যবহারের সমস্যা থেকে উত্পন্ন হয়। ইনসুলিন একটি হরমোন যা খাদ্য থেকে শরীরে গ্লুকোজ উপাদান বিভিন্ন কক্ষপথে পাঠায় এবং গ্লুকোজ শরীরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীর শরীর ইনসুলিন তৈরি বা ব্যবহার করা সমস্যার কারণে উন্নয়ন করা গ্লুকোজ স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করতে না পারে এবং শরীরে বাকি থাকা গ্লুকোজ একটি সংগ্রহ ক্ষেত্রে রূপ ধারণ করে যা শরীরের প্রতিরক্ষা পদ্ধতি এবং বিভিন্ন সমস্যার উত্থান করে, যেমন হৃদরোগ, কিডনি সমস্যা, চোখ সমস্যা এবং কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি।

ডায়াবেটিস কী, মাত্রা, কেন হয়, কি খেলে ভালো হয় ও পরীক্ষা?


ডায়াবেটিস রোগীর উচ্চ মাত্রা গ্লুকোজ উপাদান সেই সমস্যার কারণে শরীরে থাকতে থাকতে একটি বিশেষ ধরনের সমস্যার উত্থান করতে পারে যা সহজে নিয়ন্ত্রিত করা যায় না। একটি স্বাভাবিক গ্লুকোজ স্তর বজায় রাখার অভাবে রোগী হাইপারগ্লাইসেমিয়া বা উচ্চ রক্ত শর্করা স্তরে পড়তে পারেন। ডায়াবেটিস রোগীর এই অস্বাভাবিক গ্লুকোজ স্তর বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াযোগ উত্থান করতে পারে, যেমন জ্বর, উঁচু রক্তচাপ, ত্বকের সমস্যা এবং দৃষ্টি সমস্যা।

(ads1)

ডায়াবেটিস দুই ধরণে প্রকাশ পায়, প্রথমতঃ টাইপ ১ ডায়াবেটিস এবং দ্বিতীয়তঃ টাইপ ২ ডায়াবেটিস। টাইপ ১ ডায়াবেটিস হল একটি অটোইমিউন রোগ যা আদর্শভাবে কোষপথের অংশটির ধ্বংস করে যা শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন স্থান নষ্ট করে ।


টাইপ ১ ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন হরমোন যেভাবে শরীরে উৎপাদিত হয় সেটি অপসারণ করে দেওয়া হয় যা শরীরে গ্লুকোজ উপাদানের উন্নয়নে প্রভাবিত হয়। একজন টাইপ ১ ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ইনসুলিন হরমোন বিভিন্ন রকমের প্রয়োজন হতে পারে, যেমন সাধারণত রোজগারজীবীদের জন্য একটি দিনে একটি ইনজেকশন করা লাগে যেখানে অন্যান্য রোগীদের জন্য ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়।


টাইপ ২ ডায়াবেটিস একটি আম লক্ষণ সম্পন্ন রোগ। এই রোগে ইনসুলিন হরমোন ব্যবহার করার সামগ্রী তথা শরীরে ইনসুলিন সংক্রমণ বা উন্নয়নের উপকরণ সমস্যার জন্য গ্লুকোজ স্তর কম হয় যা শরীরের প্রতিস্থাপন করা যায় না।


টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম স্বাভাবিকভাবে খাবারের গ্লুকোজ স্তর নিয়ন্ত্রণ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীর জন্য মূলত প্রয়োজনীয় হল স্বাস্থ্যকর খাদ্য সিদ্ধান্ত এবং শরীরের শুগার স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে অন্যান্য কথা যেমন শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, পরিমিত খাদ্য সংগ্রহ, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং ঔষধ ব্যবহার করা যায়।


একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য শারীরিক ক্রিয়াকলাপ খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি শরীরের শুগার স্তর নিয়ন্ত্রণ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ শরীরে ইনসুলিনের প্রভাব প্রতিফলিত করে যা শরীরের শুগার স্তর নিয়ন্ত্রণ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ এর জন্য উপযুক্ত।


ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরিমিত খাদ্য সংগ্রহ খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি তাদের শরীরে শুগার স্তর নিয়ন্ত্রণ এর জন্য উপযুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। সহজগিরি করে বলা যায় যে প্রয়োজনীয় হল কাপড় বা সবজি থেকে পাঁচটি করে এবং প্রতিটি খাবারের সঙ্গে মধ্যম আকারের ফলমূল খেতে হবে। শরীরের শুগার স্তর নিয়ন্ত্রণ এর জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের প্রতিদিন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।


ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ ওজন কম হলে শরীরের শুগার স্তর নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। ওজন কম না হলে ডায়াবেটিস রোগী অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়।

(ads1)

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্যায়াম ও শরীরে পানির পর্যায়কে নিয়ন্ত্রণ রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরের শুগার স্তর নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ব্যায়াম করার জন্য সময় দিয়ে স্বাস্থ্যকর আহার নিয়ে ব্যায়াম করা উচিত। সাধারণত প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত।


ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জিনিসপত্র খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ তারা নিয়মিতভাবে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে এবং নিয়মিতভাবে ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র প্রয়োজন হতে পারে, যেমন শরীরের শুগার স্তর নির্ধারণ করার জন্য গ্লুকোমিটার, ইনসুলিন ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য ইনসুলিন পেন, শরীরের শুগার নিয়ন্ত্রণ করার জন


ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সঠিক খাদ্য ও পুষ্টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাদ্য নিয়ে কাজ করা উচিত যাতে শরীরের শুগার স্তর নির্ধারণ করা যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সাধারণত একটি পুষ্টিতে মিল থাকা উচিত যা সঠিক পরিমানে প্রতিদিন খাওয়া উচিত। সাধারণত একটি পুষ্টিতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট থাকা উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাদ্যের পরিমান স্বাভাবিক হওয়া উচিত এবং শক্তি চাহিদা অনুযায়ী নেয়া উচিত।


ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য পরীক্ষাগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে ব্লাড টেস্ট, ইনসুলিন লেভেল টেস্ট, কোলেস্টেরল টেস্ট এবং মধুমেহ পরীক্ষা সম্মিলিত থাকে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রেগুলার চিকিৎসা ও সম্পূর্ণ অনুসরণের প্রয়োজন আছে। চিকিৎসা সাধারণত ইনসুলিন থেকে সহায়তা নেওয়া হয়। এছাড়াও, রোগীদের জন্য নিয়মিত ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট নেওয়া উচিত। এছাড়াও, কিছু সাধারণ পরামর্শ হলো -


১. দৈনন্দিন শারীরিক চর্যাপদ্ধতি সংযোজন করুন। যেমন প্রতিদিন পানি পান করুন, বিশ্রাম নিন, যথাসম্ভব দৈনন্দিন ব্যায়াম করুন।


২. শক্তিশালী খাবার নিন। আপনার খাদ্যে সাধারণত কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট থাকা উচিত। সুস্থ ফল এবং সবজি নিন। মিষ্টি, পানির সাথে মিশ্রিত পানি সর্বদা নিন।


৩. রেগুলারলি ডায়াবেটিস চিকিৎসা করুন। সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইনসুলিন থেকে সহায়তা নেওয়া হয়।


৪. নিয়মিত ডাক্তারের কাছে পরীক্ষা করান। নির্দিষ্ট সময়ে রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। সেটি রোগীদের চিকিৎসার পরিসরে পরিবর্তন ঘটাতে পারে।


৫. সহজে জনপ্রিয় না হওয়া উপসর্গ দেখতে সতর্ক থাকুন। সহজে জনপ্রিয় না হওয়া কিছু উপসর্গ ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে সাধারণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অনুসরণকারী খুব বেশি স্থান থেকে পানি বাড়ানো, ঘন মোটা দস্ত বা প্রস্রাব এবং অতিরিক্ত মন্দ গাঁথলি হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।


সংক্ষেপে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কঠিন প্রতিবন্ধক প্রতিরোধ করতে হয়। তবে সঠিক চিকিৎসা, স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং শারীরিক চর্যাপদ্ধতি সংযোজন করে ডায়াবেটিস কণ্ঠস্থলে চিহ্নিত হওয়া সম্ভব।

(ads1)

ডায়াবেটিস কেন হয়?

ডায়াবেটিস একটি রোগ যা হলে ব্লাড সুগার (গ্লুকোজ) স্তর অধিক হয়ে যায়। গ্লুকোজ হল শরীরের প্রধান উৎস যা আমাদের খাদ্য থেকে পাওয়া যায়। খাদ্য পরিপ্রেক্ষিত গ্লুকোজ হল একটি প্রাথমিক শক্তি উৎস এবং সংস্কারক হতে পারে এমন অন্যান্য খাদ্য উৎপাদনের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য পারস্পরিক হতে পারেনা বা উন্নয়ন করতে পারেনা।

ডায়াবেটিস হয়ে যাওয়ার পৃথক কারণগুলির মধ্যে একটি হল ইনসুলিন হরমোনের অভাব বা অসমতা। ইনসুলিন হল একটি হরমোন যা প্রধানতঃ প্যানক্রিয়াস নামক অঙ্গের থেকে উৎপাদিত হয়। ইনসুলিন শরীরের রক্তে উপস্থিত গ্লুকোজকে শরীরের সেলগুলি ব্যবহার করে বা সংরক্ষ করে রাখে যাতে আমাদের শরীর প্রয়োজন হলে উপস্থিত থাকে। ইনসুলিন না থাকলে শরীর সেলগুলি গ্লুকোজ ব্যবহার করে না পারে এবং এর ফলে রক্তে অধিক পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে যা ডায়াবেটিসের লক্ষণ হয়।

আরও কিছু কারণ হতে পারে ডায়াবেটিসের জন্য, যেমন সেলগুলি ইনসুলিন ব্যবহার করতে অস্বস্ত থাকা, গ্লুকোজ আবশ্যক ব্যবস্থা না করা বা শরীরের অবশিষ্ট গ্লুকোজকে শরীর থেকে বের করা না হতে পারে। আরও উচ্চ রক্তচাপ, বাড়তি ওজন, ধূমপান এবং পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে ডায়াবেটিস হওয়া সম্ভব।

ডায়াবেটিস একটি সমস্যা যা অনেক সময় অবরোধ করা যায় না, কিন্তু এটি সম্ভবতঃ চিকিৎসা ও উপযোগী পরামর্শ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।


ডায়াবেটিস এর লক্ষণগুলো কি কি?

ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো একটি ধরনের সমস্যা হিসাবে গ্রহণ করা হয়। কিছু মানুষে এই লক্ষণগুলো কম হয় বা না হয় কিন্তু অন্য কিছু মানুষে এগুলো দেখা যায়। এই লক্ষণগুলো হল:

  • প্রচুর জ্বর বা অস্বস্তি অনুভব করা।
  • প্রাকৃতিক ক্ষুধামন্দা এবং বেশি পানি পান করা।
  • সাধারণতঃ প্রচুর মুখের জন্য প্রতিদিন উঠতে হয়।
  • বিশেষ করে জোর করে হাত ও পা থাকলে স্যান্ড্রম অনুভব করা হয়।
  • পাঁচালি থেকে বেশি ক্ষুধা অনুভব করা।
  • প্রকৃত চমকপ্রদ থাকা, হালকা ব্যাথা এবং অসুস্থতার সামান্য লক্ষণ অনুভব করা।
  • প্রকৃত দৃষ্টিশক্তি কম হওয়া।
  • প্রতিদিন উত্তেজনা ও শারীরিক কাজে অস্বস্তি অনুভব করা।
  • নিজের শ্বাসকষ্ট ও দূর্গন্ধ বলে বের হওয়া।
  • মাথার চুল অস্থির হতে লাগা।
  • জোড়া বা কষ্টকর শারীরিক অবস্থার জন্য জ্বর এবং সমস্যাগুলি অনুভব করা।
  • সাধারণতঃ এই সমস্যাগুলির সাথে মনস্থম্মতা ও চিন্তামুগ্ধ অনুভব করা হয়।

আরো কিছু সাধারণ লক্ষণগুলি হতে পারে যেমন অতিরিক্ত পানি পান করা, জন্ডিস, ক্ষুধামন্দা এবং সাধারণ শারীরিক অসুস্থতা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল বিশেষ করে যখন কোনও মানুষ প্রচুর খাদ্য প্রবণতা, জন্ডিস, হাইপারগ্লাইসেমিয়া (উচ্চ রক্তচাপ) এবং হার্ট সমস্যা এবং নাইস একইসাথে অনুভব করে তখন ডায়াবেটিস হতে পারেন।

(ads1)
ডায়াবেটিস কী, মাত্রা, কেন হয়, কি খেলে ভালো হয় ও পরীক্ষা?


ডায়াবেটিস সারানোর উপায় কি বা ডায়াবেটিস কমানোর উপায় কি?

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু পরামর্শ এবং পরিবর্তনগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে।

  • খাদ্যে সম্মত পরিমাণ ক্ষুধার্ত আহার নিন। একটি সম্পূর্ণ এবং সম্মত খাদ্য গ্রহণ করুন এবং উপকারিতা দেখতে শুরু করুন। প্রতিটি খাবারের পরিমাণ সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন।

  • ব্যায়াম করুন এবং আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। স্বাস্থ্যকর ওজন ও আপনার দৈনন্দিন সময়সূচি দৈনন্দিন জীবনের স্থিতিশীলতা এবং আহারের নিয়মিত গ্রহণ থেকে নির্ভর করে।

  • বর্তমান মেডিকেশন গ্রহণ করুন এবং প্রশাসন করুন। ডাক্তার যদি নির্দেশ দেন যে আপনার জীবনযাত্রার অংশ হিসেবে আপনাকে মেডিকেশন গ্রহণ করতে হবে, তবে সেটি নিয়মিত খাওয়া এবং ব্যবহার করা উচিত ।

  • নিয়মিত ডাক্তার পরিদর্শন করুন এবং পরীক্ষা করান। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আপনার ডাক্তার অনেক সাহায্য করতে পারেন। আপনার ডাক্তারের সাথে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ করুন এবং আপনার লক্ষণগুলো এবং সমস্যাগুলো সম্পর্কে তাকে জানান।

  • মাসকে কমপক্ষে একবার আপনার প্রোফেশনাল স্বাস্থ্য চেকআপ করুন। আপনার ডাক্তার প্রদত্ত পরামর্শ এবং সুপারিশ অনুসরণ করুন এবং ডায়াবেটিস ও সম্পর্কিত সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য পান।

  • জ্ঞানপ্রাপ্তি অর্জন করুন। আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ এবং আপনার বৈদ্যুতিন স্বাস্থ্য উন্নয়ন করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করুন।
(ads1)
  • পরিবেশ ও খাদ্যে সতর্ক থাকুন। আপনার খাদ্য এবং পরিবেশে কোনও বিষাক্ত জিনিস না খাওয়ার জন্য সাবধান থাকুন। সতর্কতার সাথে কিছু খাবার খাওয়ার জন্য আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।

  • প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম আপনার শরীরে ইনসুলিন উৎপন্ন করে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরের ওজন কমাতে পারেন এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

  • নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন। নিরাপদ জীবনযাপন করার মাধ্যমে আপনি অবস্থান পরিবর্তন, খাবার এবং কাজের সময়সূচীতে সম্পর্কিত পরিবর্তন করতে পারেন।

  • নিয়মিত ও সঠিকভাবে ঔষধ খাওয়া এবং সেবন করুন। ডায়াবেটিস পরিচালনার জন্য আপনার ডাক্তার কিছু ঔষধ পরামর্শ করতে পারে ।

  • রেগুলারলি ডাক্তারের সাথে সংযোগ রাখুন। আপনার ডাক্তারের সাথে সম্পর্ক রাখার মাধ্যমে আপনি আপনার স্বাস্থ্য ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিক পরামর্শ পেতে পারেন।

  • স্বাস্থ্যকর নিদ্রার জন্য সময় দিন। নিদ্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পার্থক্য যা আপনার সম্পূর্ণ জীবনধারার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর নিদ্রার জন্য নির্দিষ্ট সময় প্রদান করে নিদ্রার পারফরমেন্স সুধারতে পারেন এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারেন।

এই উপায়গুলি অনুসরণ করলে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক সাহায্য হবে এবং আপনি আপনার জীবনধারার মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর জীবন উপভোগ করতে পারেন।


(ads1)
ডায়াবেটিস কী, মাত্রা, কেন হয়, কি খেলে ভালো হয় ও পরীক্ষা?


ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল

ডায়াবেটিসে নরমাল মান হলো সুগারের মাত্রা ফাস্টিং প্লাজমা গ্লুকোজ (FPG) হলে 100 মিলিগ্রাম/ডিলিটার বা তার কম হলে এবং হেমোগ্লোবিন এইসিও (HbA1c) লেভেল 5.7% থেকে 6.4% হলে।

যদি FPG লেভেল 126 মিলিগ্রাম/ডিলিটার বা তার বেশি হয় বা HbA1c লেভেল 6.5% বা তার বেশি হয় তবে ডায়াবেটিস হিসাবে গন্য হবে।

তবে, সম্ভবতঃ আপনি জানেন যে, ডায়াবেটিস একটি ক্রমবর্ধমান রোগ এবং নিয়মিত চেকআপ করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে, যদি ডায়াবেটিসের লক্ষণ অথবা ঝুঁকি উপস্থিত থাকে।


(ads1)
ডায়াবেটিস কী, মাত্রা, কেন হয়, কি খেলে ভালো হয় ও পরীক্ষা?


ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকাঃ

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খাদ্য তালিকা একটি বিশেষ কর্ম প্রণালী অনুসরণ করা প্রয়োজন। রোগীর খাবারে খুব কম মিষ্টি এবং ভাত থাকা উচিত। রোগীর প্রতিদিনের খাবারের সামগ্রী এমন হতে হবে যা তাদের শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন করতে সাহায্য করবে এবং তাদের রক্ত চাপ, কোলেস্টেরল এবং ট্রিগ্লিসেরাইড স্তর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। সাধারণত, নিম্নলিখিত খাদ্য পদার্থ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত:

  • সবজি: সবজি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উত্তম খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয়। সবজির মধ্যে হালকা সবজি যেমন লাউ, ফুলকপি, কলমি, কাঁচা মরিচ, শিম, ফলের মতো সবজি উত্তম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য।

  • ফল: ফল একটি ভালো খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয়। ডায়াবেটিস রোগী ফলের মধ্যে পেয়ে যাবেন কার্বোহাইড্রেট এবং বিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার। কিন্তু কিছু ফল যেমন কেলা, চিকু, সেব, আম, পেঁপে স্যাঁত এবং অন্যান্য ফল একটি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বেশ কম উত্তম হিসাবে বিবেচিত হয়।

  • প্রোটিন: প্রোটিন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি উত্তম খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয়। কিছু প্রোটিনের উৎস যেমন মাছ, চিকেন, ডিম এবং সুইট পটেটো ।

  • কার্বোহাইড্রেট: ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সঠিক কার্বোহাইড্রেট উত্তম খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয়। সঠিক কার্বোহাইড্রেটের উৎস যেমন ব্রাউন রাইস, ওটস, বাজারা এবং মসুর ডাল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উত্তম হিসাবে বিবেচিত হয়।

  • অল্প পরিমাণে মিষ্টি: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মিষ্টি খাওয়া একটি ঝামেলা হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে কিছু মিষ্টি যেমন স্টিভিয়া, ক্ষুদ্র সংখ্যায় মিষ্টি এবং বিশেষ স্বাদ দেয় তেলের মিষ্টি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উত্তম হিসাবে বিবেচিত হয়।
  • মাংস এবং মাছ: ডায়াবেটিস রোগীর জন্য মাংস এবং মাছ একটি উত্তম খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে এগুলি পুরো মাংস এবং মাছ না হয়ে উন্নয়নশীল মাংস এবং মাছ হতে হবে। এছাড়াও, কোনও আদ্যতার মাংস বা মাছের স্থানে নির্দিষ্ট খাবার বা জাতির ব্যবহার করা উত্তম।
(ads1)
  • ফল এবং সবজি: ফল এবং সবজি স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয় যা ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে উপযুক্ত। ফল এবং সবজির মধ্যে প্রচুর ফাইবার এবং পুরো ফল এবং সবজি না কাটা এবং সিদ্ধ করা বা ভাপে করা উত্তম হিসাবে বিবেচিত হয়।

  • ডাল: বাংলাদেশে প্রচলিত প্রচুর ডালের মধ্যে কিছু ডাল যেমন মসুর ডাল, মুসুর ডাল এবং চনার ডাল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উত্তম হয়। এছাড়াও, ডালে প্রচুর ফাইবার এবং প্রোটিন থাকা উত্তম ।

  • ভূনা মুরগি: পুরো মুরগি থাকলে সেটি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উত্তম নয়, কিন্তু ভুনা মুরগি একটি উত্তম উন্নয়নশীল খাবার হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি ভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং প্রোটিন সরবরাহ করে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী ।

  • মশলা: প্রচুর মশলা ব্যবহার করা হলে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপযুক্ত নয়। কিন্তু কিছু মশলা যেমন ধনে পাতা, গোলমরিচ এবং জিরা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সুস্থতার উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে।

  • গরুর মাংস: গরুর মাংস খাদ্যে হাই প্রোটিন এবং সমৃদ্ধ হেম সূত্র থাকে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি উন্নয়নশীল খাদ্য হতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যে গরুর মাংসে কয়েকটি নির্দিষ্ট পরিমাণ লিপিড থাকতে পারে যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সুস্থতার জন্য ভাল নয়।

  • সূপ: সূপ খাবারের জন্য একটি উন্নয়নশীল উপাদান। এটি সবচেয়ে প্রাকৃতিক উপাদানগুলি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত। লেন্টিল, সবুজ শাক এবং মুখোশ মধ্যে থাকা সমৃদ্ধ প্রোটিনের কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি উন্নয়নশীল খাদ্য।

  • কম কালরি ফল: ডায়াবেটিস রোগীরা কম কালরি ফল খেতে পারেন যেমন পেঁপে, কমলা, আম, পাপয়া এবং পাইনাপল। এদের মধ্যে অনেক কালরি নেই এবং সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক।

  • তাজা সবজি: তাজা সবজি হল ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবজি ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ উপস্থিত থাকা কারণে এটি সুস্থতার জন্য উপযুক্ত। সবজি নিয়ে মিক্সড ভেজিটেবল, সালাদ, স্টিম ভেজিটেবল এবং সূপ তৈরি করা যায় যা ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারে অবশ্যই থাকতে হবে।
(ads1)

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকাঃ

ডায়াবেটিস রোগীদের নিষিদ্ধ খাবার হলঃ

  • চিনি: সাধারণত প্রক্রিয়াজাত চিনি স্বাস্থ্যকর নয়, ডায়াবেটিস রোগীরা এর থেকে দূরে থাকতে হবে।

  • মিষ্টি: মিষ্টি অধিক সংখ্যক কালরি এবং চিনির থেকে বেশি মিঠাই থাকার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের এটি খাওয়া উচিত নয়।

  • কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার: মানসিক খাবার যেমন রাইস, পাস্তা, রুটি এবং স্ন্যাক বর্গের খাবার যেমন পপকর্ন, বিস্কুট এবং চিপস নিষিদ্ধ হলে একটি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য।

  • স্পাইসি খাবার: স্পাইসি খাবার যেমন চটপটি, মাছের জলে ভুনা, অতিরিক্ত মসলা দিয়ে রান্না করা খাবার ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

  • তেল বা চরবি জিনিসগুলি: ডায়াবেটিস রোগীরা সরকারি তেল, মাখন, মাংসের চরবি, সমস্ত রিফাইন্ড তেল এবং অলস খাবার নিষিদ্ধ খাবার হিসাবে বিবেচিত হতে পারেন।

  • পানি বা সোডা জিনিসগুলি যেমন কোলা, স্পর্কলিং জুস এবং ডিউয়েট কোকা-কোলা দেখে ডায়াবেটিস রোগীরা সংশয়ভাজন।

  • আলকোহল: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সম্পূর্ণতা নেই, তবে একটি সংখ্যার মধ্যে আলকোহল সেবন নিষিদ্ধ।

সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারে মেটা দরকার এবং সুষম পরিচর্যার উপকরণ প্রয়োজন। এছাড়াও, একটি ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা তৈরি করার আগে তাঁর ডায়াবেটিসের ধরণ ও তাঁর শরীরে আরও কোনও সমস্যা আছে কিনা তা জানা উচিত।

(ads1)

ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়?

ডায়াবেটিস বা রক্তচাপ বেশি থাকলে মানুষ মারা যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। সাধারণত ডায়াবেটিস মৃত্যুর প্রধান কারণ নয়, তবে এটি শরীরের অন্যান্য সমস্যার কারণে সমস্যাগ্রস্ত হতে পারে এবং সেটি লাফিয়ে ফেলার জন্য পরিবর্তনশীল জীবনযাপন করা প্রয়োজন হয়। সাধারণত, একটি স্বাভাবিক ডায়াবেটিস রোগীর জন্য তথ্যগুলি হল:

  • টাইপ 1 ডায়াবেটিস বা জীবনসুখের ব্যাপারে প্রায় কোনও ধরনের জ্ঞাত কারণ নেই এবং প্রায় সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষগুলির এর দায়িত্ব। এই ধরণের ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনে সমস্যা হয়। এই ধরণের রোগীর প্রায় সারা জীবন ইনসুলিন প্রয়োজন হয়।

  • টাইপ 2 ডায়াবেটিস হল সাধারণত বয়সের সাথে সম্পর্কিত একটি রোগ। এই ধরণের রোগীর শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয়, তবে এর ব্যবহারের দক্ষতা হ্রাস পায়। এই রোগীর জন্য পরিবর্তনশীল জীবনযাপন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং শক্তিশালী খাদ্য পদার্থ সম্পন্ন খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। একজন টাইপ 2 ডায়াবেটিস রোগীর জীবনযাপন সম্পর্কে উপযুক্ত তথ্য জানতে ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত।

  • জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস হল গর্ভধারণের সময় ডায়াবেটিস হয়ে যাওয়া একটি অস্থায়ী অবস্থা। গর্ভবতী মায়েদের জন্য একটি পরিবর্তনশীল খাদ্য তালিকা উপলভ্য থাকে, যা তাদের প্রয়োজনে অনুযায়ী উপযুক্ত মাত্রায় কাজ করবে।

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সহজেই শক্তিশালী খাদ্য উপাদান পাওয়া যায়, যা তাদের রক্ত চিপচিপ রাখবে এবং পুষ্টিগুলি সর্বোচ্চ মাত্রায় বজায় রাখবে। এই রোগীর জন্য উপযুক্ত খাদ্য উপাদানের উদাহরণ হল -
  • সবজি এবং ফলের সমৃদ্ধ মিশ্রণ, যেমন গাজর, বেগুন, শশা, মূলা, ব্রোকলি, কলিফ্লাওয়ার, লাল মরিচ, লাল পেঁয়াজ ইত্যাদি।
  • মাংস, মাছ এবং ডালের সমৃদ্ধ মিশ্রণ, যেমন সুতরংগ মাংস, চিংড়ি, মাছ, মুগ ডাল ইত্যাদি।
  • কাঠবাদাম, মুড়ি, সোয়াবিন, কিসমিস এবং অন্যান্য সুস্থ খাদ্য সমৃদ্ধ উপাদান।
একটি নিজের পরিবর্তনশীল খাদ্য তালিকা তৈরি করা হলে ডায়াবেটিস রোগীর জীবনযাপন সহজ হবে। সাধারণত চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলে থাকা সম্পূর্ণ ভুল নয়।

(ads1)

ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়?

ডায়াবেটিস একটি মধুমেহ রোগ যা শরীরে রক্তে মিথ্যুক্ত লেভেল বা গ্লুকোজ এর মাত্রা বাড়ানোর ফলে উত্পন্ন হয়। ডায়াবেটিসের চিকিৎসা প্রক্রিয়াটি একটি সম্প্রসারণমূলক প্রক্রিয়া যা রক্ত গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

ডায়াবেটিস রোগীর শরীর ইনসুলিন তৈরি না করে থাকলে বা তৈরি করে থাকলে কিন্তু সঠিক মাত্রাতে কাজ করতে না পারলে তারা ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নেয়। সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন নেয়ার প্রয়োজন হয় যখন তাদের রক্ত গ্লুকোজ এর মাত্রা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অধিক হয়।

সাধারণত বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইনসুলিন নেওয়ার পরিমাণ বা পর্যায় নির্ধারণ করে না কিন্তু রক্ত গ্লুকোজ এর মাত্রা অনুযায়ী এটি সেট করে দেয়।

(ads1)

ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়??

হ্যাঁ, অনেক মানুষ অনলাইনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় খুঁজছেন যারা ওষুধ না ব্যবহার করতে চায়। কিন্তু একটি কথা মনে রাখতে হবে যে ডায়াবেটিস একটি চিকিত্সায় না সমস্যা এবং সেটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনাকে প্রচেষ্টা করতে হবে আপনার খাদ্য ও পরিবেশ সম্পর্কে বিশেষ সতর্কতা দেওয়ার।

কিছু প্রভাবশালী উপায় হল:


  • ব্যয়ক্রম বাড়ানো এবং ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যকর এবং পাচনশক্তি বাড়ানোর জন্য সাহায্য করে। এছাড়াও, ব্যয়ক্রম বাড়ানো আপনার রক্তচাপ ও রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

  • স্বাস্থ্যকর খাবার: আপনার খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কম কার্বোহাইড্রেট ও আমিষ খাবার খাওয়া এবং বেশি পরিমাণে সবজি ও ফল খাওয়া উচিত। আপনার খাদ্য মেয়াদ শেষ না হওয়া চিন্তা করে খাবার স্টোর করা উচিত নয়।

  • ওজন কমানো: অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিসের জন্য একটি ঝুঁকি সৃষ্টি করে এবং রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ওজন কমানো হলে আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবেন না।

  • স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: নিয়মিত ঘুম এবং অতিরিক্ত স্ট্রেস থেকে দূরে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অনুসরণ করতে চাইলে দৈনিক জীবনে আরাম ও উচিত দিনটি শুরু ও শেষ করতে পারেন।
(ads1)

ক্ষুধামন্দ না হওয়ার জন্য নিয়মিত খাবার খাওয়া উচিত। বৃষ্টি আসলে সুস্থ খাদ্য পণ্য সংগ্রহ করা উচিত। প্রতিদিন অলস বসে থাকা বন্ধ থাকা উচিত। চতুর্থ থালির জন্য কম খাবার খাওয়া উচিত । 

এছাড়াও নিম্নলিখিত কিছু উপায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে:


  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। যেমন দৈনিক হাঁটা, সাইকেল চালানো, জগিং করা ইত্যাদি।

  • শক্তিশালী খাদ্য সম্পন্ন আহার খাওয়া উচিত: সবজি, ফল, অন্ন, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য পণ্য খাওয়া উচিত।

  • শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন: শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা উচিত কারণ অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করতে বিপদজনক হতে পারে।

  • স্ট্রেস কমান: স্ট্রেস কমানো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে কারণ এটি শরীরের মধ্যে উচ্ছ্বাসনের প্রতিক্রিয়া বা হরমোন সংস্কারের সময়কাল পরিবর্তন করতে পারে।
(ads1)
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন: উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিসের জন্য বিপদজনক হতে পারে, তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

  • নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত: নিয়মিতভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত কারণ এটি ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

  • ধীরে ধীরে আপনার জীবনযাত্রা পরিবর্তন করুন: বড় পরিবর্তন আপনার জীবনযাত্রা জটিল করে তবে ধীরে ধীরে পরিবর্তন করলে আপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া পরিবর্তিত হয় এবং ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

সর্বশেষ কথা হল, নিয়মিত যত্ন নেওয়া উচিত কারণ ডায়াবেটিস হলে এটি বহুদুর সময় চিকিৎসার প্রয়োজন করতে পারে। তাই সময় নষ্ট না করে প্রতিনিয়ত আবশ্যক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করুন।

(ads1)

খালি পেটে ডায়াবেটিস কত থাকে?

খালি পেটে ডায়াবেটিস বা ফাস্টিং গ্লুকোজ লেভেল ডায়াবেটিস চেষ্টা করার জন্য একটি পরীক্ষা হয় যা একটি লেবল হয় FPG (ফাস্টিং প্লাজমা গ্লুকোজ) পরীক্ষা।

স্বাভাবিকভাবে, FPG লেভেল 100 মিলিগ্রাম/ডিএল (mg/dL) এর নিচে থাকলে নরম হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে, 100 থেকে 125 mg/dL এর মধ্যে থাকলে এটি প্রে-ডায়াবেটিক অবস্থা হিসাবে বিবেচিত হয়। 126 mg/dL বা তার বেশি থাকলে ডায়াবেটিস রোগের দিকে সূচনা দেওয়া হয়।

এই পরীক্ষাটি খালি পেটে একটি দিনের সকল খাবার না খেয়ে নেওয়া হয়। আপনি শ্রদ্ধাশীলভাবে পরীক্ষাটি করতে হবে এবং ডায়াবেটিস রোগের সম্ভাবনা থাকলে নিয়মিত চিকিৎসা করতে হবে।


(ads1)

ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে করনীয়?

ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়া একটি জটিল সমস্যা এবং এর জন্য একটি সম্পূর্ণ চিকিৎসা পরিকল্পনা প্রয়োজন। কিছু প্রধান করনীয় নিম্নরূপঃ

  • নিয়মিত চিকিৎসা করতে হবে: ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসা করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। চিকিৎসা এবং দক্ষতার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।

  • শুধুমাত্র ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে শুধুমাত্র ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সঠিক খাদ্য পরিপাটি এবং উপযুক্ত শারীরিক কার্যক্রম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।

  • সঠিক খাদ্যপদার্থ নিতে হবে: ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য পরিপাটিতে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবার নেওয়া উচিত।

  • শারীরিক কার্যক্রম করতে হবে: শারীরিক কার্যক্রম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যবহারী হয়। নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রম করে ডায়াবেটিস রোগীর শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন হয়।

  • নিরাপদ ও সঠিক ওষুধ ব্যবহার করতে হবে: ডায়াবেটিস রোগীদের নিরাপদ ওষুধ ব্যবহার করা উচিত। ওষুধ ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
(ads1)
  • ডায়াবেটিস উপযুক্ত স্ক্রীনিং টেস্ট করার প্রয়োজন হতে পারে: ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত স্ক্রীনিং টেস্ট করতে হবে যাতে কোনো প্রবন্ধ হতে পারে না।

  • রোগ সম্পর্কিত শিক্ষা প্রদান করা উচিত: ডায়াবেটিস রোগীদের পর্যায়ক্রমে ডায়াবেটিস সম্পর্কিত শিক্ষা প্রদান করা উচিত যাতে রোগীর জ্ঞান ও সম্পর্কিত সমস্যার জ্ঞান থাকে।

  • নিয়মিত ডাক্তার ভিজিট করা উচিত: ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত ডাক্তার ভিজিট করতে হবে। ডাক্তার রোগীর স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং রোগের নির্বাচন এবং পরিচর্যার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবে।

  • মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার প্রয়োজন: ডায়াবেটিস রোগীর মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য মনোযোগ দেওয়া উচিত। মানসিক চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে এবং মানসিক দক্ষতা উন্নয়ন করতে হবে।

  • স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা উচিত: ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়ার জন্য পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।

  • ডায়াবেটিস মেডিকেশন সঠিক ভাবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ব্যবহার করা উচিত: ডায়াবেটিস মেডিকেশন সঠিক ভাবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ব্যবহার করা উচিত। ডায়াবেটিস মেডিকেশন ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অনেক সময় একটি রক্ষণাবেক্ষণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হয়, একটি ডায়াবেটিস ডায়েরি এর লক্ষণ টি সমালোচনা করা হয়। মেডিকেশন সঠিক ভাবে সেট করা হলে ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করা সহজ হয়।

  • শারীরিক ক্রিয়াকলাপ চালানো উচিত: নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ চালানো উচিত। শারীরিক ক্রিয়াকলাপ চালানো ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে ইনসুলিনের স্তর বাড়ানো সম্ভব করে। প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে ব্যয়কৃত ক্যালরি জমা হয় এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপ চালানো মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়তা করে।

  • নিয়মিত চেকআপ: ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত চেকআপ করতে হয়। এটি স্বাস্থ্য অবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করে এবং যেকোনো সমস্যার ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থা থেকে বাঁচাতে সহায়তা করে।
(ads1)
  • ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়: ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ না করলে ক্ষতিগ্রস্ত শরীর প্রয়োজনীয় শুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয় না।

  • নিয়মিত আবহাওয়া চেক করতে হয়: সব সময় আবহাওয়া চেক করা উচিত কেননা শুষ্ক শরীর অস্বস্তি ও অতিরিক্ত গরমীয়তা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।

  • শুগার লেভেল কন্ট্রোল: শুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করা হলে ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করা যায়। রেগুলার ফলোআপ এবং ডায়েট প্ল্যান পরিবর্তন করা যেতে পারে শুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে।

  • ফিটনেস রেজিম: ডায়াবেটিস রোগীদের ফিটনেস রেজিম ফলো করতে হয়। এটি সবচেয়ে কার্যকর উপায় যা ব্যক্তির শরীর এবং মানসিক স্বাস্থ্য বানানোর সাথে সাথে ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করার জন্য সহায়তা করে।

  • শরীরের ওজন কমানো: ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী। ওজন কমানোর মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ পরিবর্তন করা যায়।

  • স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: ডায়াবেটিস রোগীদের স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট শিখতে হয়। স্ট্রেস মেটানোর উপায় মেডিটেশন, জীবনের উপভোগ এবং পরিবারের সাথে সময় ব্যয় করার মধ্যে থাকে।

  • নিয়মিত পরীক্ষা: ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত চেকআপ করা উচিত। ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী রেগুলারলি শরীরের বিভিন্ন অংশের স্ক্রীনিং করা হয়।

  • একটি স্বাস্থ্যবিধি ফলো করা: ডায়াবেটিস রোগীদের কোনও অতিরিক্ত রোগ না থাকা নিশ্চিত হওয়ার জন্য একটি স্বাস্থ্যবিধি ফলো করা উচিত।

  • আদর্শ শরীর ও পাচনশক্তি বানান: ডায়াবেটিস রোগীদের আদর্শ শরীর ও পাচনশক্তি বানানোর জন্য প্রোটিন ও ফাইবারের মধ্যে উচ্চ মাত্রার খাবার খেতে হয়।

  • নিয়মিত ঘুম: সম্পূর্ণ ঘুম আবশ্যক ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে। একটি স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে প্রতিদিন 7-8 ঘন্টা ঘুমানো উচিত। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী, যখন শরীর ঘুমায় তখন ইনসুলিন প্রোডিউস হয় না। এছাড়াও, ঘুম না থাকলে স্ট্রেস বাড়ায় এবং ইনসুলিন রেসিস্টেন্স বাড়ে যা ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়াতে পারে।
(ads1)
  • ডায়াবেটিস শিক্ষা: ডায়াবেটিস রোগীদের উপর অবিলম্বে ডায়াবেটিস শিক্ষা দেওয়া উচিত। এই শিক্ষাটি রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত খাবার ও পরিবেশ নির্বাচন, রেগুলারলি পরীক্ষা, ওষুধ ব্যবহার এবং সমস্যা সমাধান সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ যাচাই করে দেওয়া হয়।

  • রেগুলারলি পরীক্ষা: রেগুলারলি ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন যাতে রোগীর শরীরের ডায়াবেটিসের স্থিতি বোঝা যায়। ডায়াবেটিস পরীক্ষাগুলি করার জন্য ডাক্তার একটি ডায়াবেটিস প্রতিবেদন উত্তরণ করতে পারেন এবং রোগীকে অনুমোদিত সেটিংসে প্রেরণ করা যেতে পারে।

  • সময়ে নিরাপদ উপকরণ খাওয়া: ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খাবার পরিবেশ নিরাপদ হতে হবে। রোগীর সামান্য পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। এছাড়াও, প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে সবজি ও ফল খেতে হবে।

পরিশেষে, ডায়াবেটিস হলো একটি জনসাধারণ রোগ যা রক্তচাপ বা রক্তে গ্লুকোজ স্তর নিয়ন্ত্রণের অসম্পূর্ণ প্রভাব ফেলে দেয় । এটি বেশিরভাগ মানুষের জীবনের শুরুতে কোন লক্ষণ দেখা দেয় না, কিন্তু এর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো আরও দেরি করে রোগ সন্দর্ভে লক্ষণ দেখা ।

যে কারো ডায়াবেটিস হতে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ সমস্যার পিছনে সেলফ কেয়ার স্থাপন বা পুরোপুরি কম্পাঙ্ক বা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এর সমস্যার থাকলেই হয় ।

ডায়াবেটিস বাড়ানো যাবে না, তবে এর নিয়ন্ত্রণ এবং লক্ষণগুলি কম করা যায় । শক্তিশালী খাদ্য, ব্যায়াম, ওষুধ এবং নিয়মিত চিকিৎসা একটি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য জরুরি হয়ে ওঠে ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url